
গত সপ্তাহেও আলমগীর হোসেন মরিচের কেজি কিনেছেন ৭০টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের কেজি বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা দরে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতে আজ কেনা ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। তা হাত বদল হয়ে খুচরায় কেজিতে ব্যবধান হয়েছে ৪০ টাকা। বর্ষা মৌসুমের আর বৃষ্টির কারনে দামের বৃদ্ধি বলে জানান তারা।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবারও কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৭০ টাকা কেজি। কোথাও তা ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। তবে মাস খানেক আগেও কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। কিন্তু বর্তমানে উত্তরাঞ্চল সহ দেশের নিচু এলাকাগুলো পানি বেড়ে যাবার কারনেই এ দাম বৃদ্ধি।
দিগুবাবুর বাজারে মচির বিক্রেতা বলছে, হঠাৎ বৃষ্টিতে পানি বেড়ে যাওয়ায় মরিচ ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে ক্ষতি পোষাতে কৃষক পর্যায় থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে। সেজন্য পাইকারিতেও বেড়েছে। পাইকারি বাজার থেকে আনতে আনতে অন্যান্য সবজির চাপে কিছু মরিচ নষ্ট হয়ে যায়। এরপর ওজনেও কম থাকে। তাই মূল্য সামঞ্জস্য করতে একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার আলীরটেক ও বক্তাবলী ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি গ্রামে মরিচের চাষাবাদ করা হয়। যেখানে গেল রমজান মাসে মরিচের কেজি ২০থেকে ৩০টাকা পাইকারী বিক্রি করলেও এখন তা ১১০ থেকে ১২০টাকায় বিক্রি করছেন।
মরিচ চাষীরা বলছেন, জমিতে কিছুদিনের মধ্যই পানি উঠে যাবে। আমরা যতটুকু সম্ভব মরিচ বিক্রি করে দিচ্ছি। আমরা ধারনা করেছিলাম রমজান মাসে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাবে কিন্তু রমজান মাসে করোনা পরিস্থিতির কারনে বাজারে দাম ছিলো না, যার কারনে ক্ষতির সম্মুক্ষিন হতে হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাজারে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
No posts found.